Chapter-18 ব্যাকরণ
পদ পরিবর্তন
১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
(ক) বিশেষ্য থেকে বিশেষণে পদ
পরিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্য
থেকে বিশেষণে পদ পরিবর্তনের উদাহরণ হ’ল–
বিশেষ্য – বিশেষণ।
অন্তর – আন্তরিক।
(খ) বিশেষণ থেকে বিশেষ্যে
পদপরিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ বিশেষণ
থেকে বিশেষ্যে পদ পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হ’ল –
বিশেষণ – বিশেষ্য।
অধিক – আধিক্য।
(গ) বৎসর / বাৎসরিক – পদ পরিবর্তনের প্রকৃতি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ বৎসর হচ্ছে বিশেষ্য পদ আর
বাৎসরিক বিশেষণ, তাই এটি বিশেষ্য থেকে বিশেষণে পদ পরিবর্তন হয়েছে।
(ঘ) সূর্য / সৌর – পদ পরিবর্তনের প্রকৃতি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ সূর্য
হচ্ছে বিশেষ্য পদ আর সৌর হচ্ছে বিশেষণ পদ সুতরাং এটি বিশেষ্য থেকে বিশেষণে পদ
পরিবর্তন হয়েছে।
(ঙ) অনুগত / আনুগত্য – পদ পরিবর্তনের প্রকৃতি নির্ণয় করো।
ঊত্তরঃ অনুগত
হচ্ছে বিশেষণ পদ আর আনুগত্য হচ্ছে বিশেষ্য পদ। সুতরাং এটি বিশেষণ থেকে বিশেষ্য পদ
পরিবর্তন হয়েছে।
(চ) পদ পরিবর্তন করো – পরাক্রম, দাস, নিরাশ, বীর, নীল।
উত্তরঃ পরাক্রম – পরাক্রান্ত।
দাস – দাসী।
নিরাশ – নৈরাশ্য / নিরাশা।
বীর – বীরত্ব / বীর্য।
নীল – নীলিমা।
(ছ) সঠিক পদ পরিবর্তনটি নির্ণয় করো
।
বিনয় / বিনয়পূর্বক, সবিনয়, বিনীত
অধিক / অধিকতর, অধিকতম, অধিকারী, আধিক্য
চালাক / চালু, চালাক-চতুর, চালিকা, চালাকি
উত্তরঃ বিনয় – বিনীত।
অধিক – আধিক্য।
চালাক – চালাকি।
২। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
(ক) পদ কাকে বলে? বাংলায় কয় প্রকার পদ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ বাক্যে
ব্যবহৃত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলা হয়।
বাংলায় পাঁচ
প্রকার পদ পাওয়া যায়। যেমন– বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া।
(খ) বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্য পদের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে পদে
কোনো কিছুর নাম বোঝানো হয়, তাকে বিশেষ্য পদ বলা হয়।
বিশেষ্য পদের
দুটি উদাহরণ হল – সূর্য, নগর।
(গ) বিশেষণ পদ কাকে বলে? বিশেষণ পদের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্য
পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি যে পদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাকে বিশেষণ পদ বলা হয়।
বিশেষণ পদের দুটি
উদাহরণ হলো- বাৎসরিক, লৌকিক।
(ঘ) সর্বনাম পদ কাকে বলে? সর্বনাম পদের যে কোনো দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্যর
পরিবর্তে বাক্যে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলা হয় ।
সর্বনাম পদের
দুটি উদাহরণ– আমি, তুমি, সে ।
(ঙ) ক্রিয়াপদ কাকে বলে? ক্রিয়াপদের যে কোনো দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বাক্যের
অন্তর্গত যে পদে কোনও কালের, কোনও ভাবের ও প্রকারের ক্রিয়া
ব্যাপারের সংঘটন বোঝায় এবং বাক্যের উদ্দেশ্য পদের সঙ্গে যার রূপের সংগতি রক্ষিত
হয়, সেই পদকে বলে ক্রিয়াপদ।
(চ) অব্যয় পদ কাকে বলে? অব্যয় পদের যে কোনো দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে
পদগুলির লিঙ্গ, বচন, পুরুষ ও কারক ভেদে কোনো পরিবর্তন ঘটে না, সেই পদগুলিকে অব্যয় বলে।
অব্যয় পদের দুটি
উদাহরণ হলো– এবং, তবে।
(ছ) পদ-পরিবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ কখনো কখনো
বিশেষ্য পদ বিশেষণে এবং বিশেষণ পদ বিশেষ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ ধরণের এক
শ্রেণির পদ থেকে অন্য এক শ্রেণিতে পদের পরিবর্তনকে ‘পদ পরিবর্তন’ বলা হয়।
(জ) বাংলায় পদ পরিবর্তনের দুটি
প্রকারভেদের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বাংলায়
পদ পরিবর্তনের দুটি প্রকারভেদ হল – বিশেষ্য।
থেকে বিশেষণ, যেমন – ধাতু-ধাতব।
আরেকটি হল – বিশেষণ।
থেকে বিশেষ্য, যেমন – -উচিত-ঔচিত্য।
(ঝ) বিশেষ্য থেকে বিশেষণে পদ
পরিবর্তনের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্য
থেকে বিশেষণ
পরিধান – পরিধেয়।
মোহ – মুগ্ধ।
(ঞ) বিশেষণ থেকে বিশেষ্যে পদ
পরিবর্তনের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষণ
থেকে বিশেষ্য
গম্ভীর – গম্ভীরতা।
কৃপণ – কৃপণতা / কার্পণ্য।
(ট) পদ পরিবর্তনের প্রকৃতি নির্ণয়
করোঃ (যে কোনো দুটি)
অন্তর > আন্তরিক
লোক > লৌকিক
করুণ > করুণা
গিন্নি > গিন্নিপনা
উত্তরঃ অন্তর > আন্তরিক – বিশেষ্য থেকে বিশেষণ।
লোক > লৌকিক – বিশেষ্য থেকে বিশেষণ।
করুণ > করুণা – বিশেষণ থেকে বিশেষ্য।
গিন্নি > গিন্নিপনা – বিশেষণ থেকে বিশেষ্য।
৩। উত্তর দাও
(ক) পদ-পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তরঃ বাক্যে
ব্যবহৃত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলা হয়। বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া নামে পাঁচ প্রকার পদের সন্ধান পাওয়া যায়।
বিশেষ্য – যে পদে কোনো কিছুর নাম বোঝানো হয় তাকে বিশেষ্য বলা হয়।
বিশেষণ – বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা পরিমাণ ইত্যাদি যে পদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাকে বিশেষণ পদ
বলা হয় ।
সর্বনাম – বিশেষ্যের পরিবর্তে বাক্যে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলা হয়।
ক্রিয়া – যে পদে কোনো ধরনের কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলা হয় ।
অব্যয় – বাক্য মধ্যে এমন কতগুলো পদ পাওয়া যায়, যেগুলো লিঙ্গ, বচন বা বিভক্তিযুক্ত হলেও, কোনো ধরনে পরিবর্তিত হয় না, এই পদগুলোকে অব্যয় পদ বলা হয় ।
কখনো কখনো এই
বিশেষ্য পদ বিশেষণে এবং বিশেষণ পদ বিশেষ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ ধরনের এক
শ্রেণির পদ থেকে অন্য এক শ্রেণিতে পদের পরিবর্তনকে পদ পরিবর্তন বলা হয়। যেমন –
বিশেষ্য থেকে বিশেষণ
অংশ – আংশিক।
ভাত – ভেতো।
বিশেষণ থেকে বিশেষ্য
কিশোর > কৈশোর।
উজ্জ্বল > উজ্জ্বলতা / ঔজ্জ্বল্য।
অতিরিক্ত
প্রশ্নোত্তরঃ
১। পদ পরিবর্তন বা পদান্তর সাধন কাহাকে বলে?
উত্তরঃ একই
শ্রেণীর পদকে অন্য শ্রেণীর পদে পরিবর্তন করার নামই হইয়াছে পদ পরিবর্তন বা পদান্তর
সাধন। পদ পরিবর্তনের অর্থ হইল বিশেষ্য পদকে বিশেষণ পদে এবং বিশেষণ পদকে বিশেষ্যে
পদে পরিবর্তিত করা।
বিশেষ্যকে বিশেষণ পদে পরিবর্তন –
বিশেষ্য – বিশেষণ।
অগ্নি – আগ্নেয়।
উত্থান – উত্থিত।
কায় – কায়িক।
অরুণ – অরুনিমা।
আয়ু – আয়ুষ্মান।
নাশ – নষ্ট।
খণ্ড – খণ্ডিত।
তালু – তালব্য।
ত্রাস – এস্ত।
জন্তু – জান্তব।
পুরস্কার – পুরস্কৃত।
পিশাচ – পৈশাচিক।
বিশেষ্য – বিশেষণ।
মধু – মধুর।
মন – মানসিক।
ভয় – ভয়ানক।
ভূত – ভৌতিক।
পশু – পাশবিক।
দেহ – দৈহিক।
জন্ম – জাত।
লজ্জা – লজ্জিত।
স্ত্রী – স্ত্ৰৈণ।
সন্ধ্যা – সান্ধ্য।
অনুবাদ – অনূদিত।
উন্মাদ – উন্মত্ত।
অবধান – অবহিত।
আসন – আসীন।
ইচ্ছ – ঐচ্ছিক।
আদি – আদিম।
অন্তুর – আন্তরিক।
তাপ – তপু।
নগর – নাগরিক।
তেজ – তেজী।
ঘর – ঘরোয়া।
বিশেষ্য – বিশেষণ।
নিশা – নৈশ।
বিষাদ – বিষণ্ণ।
ধন – ধনী।
ফল – ফলন্ত।
বস্তু – বাস্তব।
দর্শন – দার্শনিক।
সূর্য – সৌর।
লয় – লীন।
লোক – লৌকিক।
ক্ষয় – ক্ষীন।
স্নায়ু – স্নায়বিক।
মোহ – মুগ্ধ।
পাথর – পাথুরে।
চন্দ্ৰ – চন্দ্ৰিমা।
উপনিবেশ – উপনিবেশিক।
জয় – জয়ী।
দহন – দগ্ধ।
দোষ – দূষিত।
যোগ – যৌগিক।
শাস্ত্র – শাস্ত্রীয়।
শরৎ – শারদ।
মাটি – মেটে।
বিশেষণ – বিশেষ্য।
উজ্জ্বল – উজ্জ্বল্য।
সম – সাম্য।
লঘু – লঘিমা।
বীর – বীরত্ব।
ভ্রম – ভ্রান্ত।
চতুর – চাতুৰ্থ।
শূর – শৌর্য।
হিংস্র – হিংস্রতা।
উচিত – উচিত্য।
শীত – শৈত্য।
মধুর – মাধুর্য।
মূর্খ – মূর্খতা।
বিষম – বৈষম্য।
গম্ভীর – গাম্ভীর্য।
প্রিয় – প্রীতি।
প্রবল – প্রাবল্য।
বচন – উক্ত।
বৈধ – বিধি।
আসক্ত – আসক্তি।
নিষিদ্ধ – নিষেধ।
আর্ত – আর্তি।
বিশেষণ – বিশেষ্য।
বিহিত – বিধান।
দরিদ্র – দারিদ্র্য।
রুগন – রোগ।
ক্ষীণ – ক্ষয়।
অতিশয় – আতিশয্য।
বীর – বীরত্ব।
মহৎ – মহত্ব।
নিষিদ্ধ – নিষেধ।
পরাক্রান্ত – পরাক্রম।
মত্ত – মদ।
বিস্মিত – বিস্ময়।